চার করোনা জয়ীকে সম্বর্ধনা জানালেন তৃণমূল কর্মীরা : পাশে থাকার আশ্বাস

20th September 2020 9:36 am হুগলী
চার করোনা জয়ীকে সম্বর্ধনা জানালেন তৃণমূল কর্মীরা : পাশে থাকার আশ্বাস


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : আতঙ্কে নয় সতর্ক থাকুন । করোনা সম্পর্কে মানুষকে বারবার এই বার্তাই দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ‍্য বিভাগের পক্ষ থেকে । করোনা আক্রান্ত যারা হচ্ছেন তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে চিকিৎসা করালেই তারা সুস্থ হয়ে যাবেন । যারা সুস্থ হচ্ছেন তারা যাতে পুনরায় সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে পারেন তার জন‍্য ও সচেতন থাকা দরকার প্রতিবেশীদের । আতঙ্কে অছ‍্যুত ভেবে দূরে সরিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই । হুগলীর শেওড়াফুলি চারাবাগান এলাকার চারজন বাসিন্দা করোনা জয় করে বাড়ি ফিরেছেন । স্বাস্থ‍্য বিভাগের নির্দেশ মেনেই আপাতত হোম আইসোলেশনে থাকছেন তারা । গত ২০ দিন আগে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে । তারপর চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসার পর সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা । সেই চার করোনা জয়ীকে সম্বর্ধনা জানালেন বৈদ‍্যবাটী পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে র তৃণমূল কর্মীরা । ফুল , মিষ্টি , মাস্ক , হ‍্যান্ড স‍্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হল তাদের হাতে । এই সব মানুষকে কেউ যাতে দূরে সরিয়ে না রাখেন তার জন‍্য ই এই প্রয়াস বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা  দীপক সাঁঁতরা । পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা । স্বাভাবিক ভাবেই আশ্বাস পেয়ে খুশি করোনা জয়ীরাও । সকলকেই সাহস দিচ্ছেন তারাও । সতর্ক থাকুন , সচেতন থাকুন । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।